দেশের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ২১ জুলাই উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি এই পদত্যাগের পিছনে স্বাস্থ্যগত কারণ উল্লেখ করেন। তবে পদত্যাগের পর থেকে কেউ তাকে দেখেনি। তিনি কোনও কর্মসূচিতেও অংশ নেননি। এই কারণেই বিরোধীরা এখন সরকারকে এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে। শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখে হেবিয়াস কর্পাস আবেদনের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা এবং রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে একটি চিঠি লিখে উপরাষ্ট্রপতি এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক পদত্যাগ এবং তারপর থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাউত চিঠিতে বলেছেন যে ২১শে জুলাই ধনখড় উচ্চকক্ষের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করেছিলেন এবং সম্পূর্ণ সুস্থ দেখাচ্ছিলেন। তবে, একই সন্ধ্যায় তিনি স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। রাউতের মতে, তারপর থেকে ধনখড়ের স্বাস্থ্য বা তার অবস্থান সম্পর্কে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি নিরাপদ নন - রাউত
১০ আগস্ট লেখা এই চিঠিতে সঞ্জয় রাউত বলেছেন যে অনেক সাংসদ ধনখরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। তার কর্মীদের কাছ থেকেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। রাউত দাবি করেছেন যে দিল্লিতে গুজব ছড়াচ্ছে যে উপরাষ্ট্রপতিকে তার বাসভবনে গৃহবন্দী করা হয়েছে এবং তিনি নিরাপদ নন।
এই পরিস্থিতিকে মর্মান্তিক এবং উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে কেন তার অবস্থা এবং অবস্থান সম্পর্কে কোনও স্বচ্ছতা নেই, যেখানে দেশের সত্য জানার অধিকার রয়েছে।
হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দায়েরের সতর্কীকরণ
সঞ্জয় রাউত তার চিঠিতে আরও প্রকাশ করেছেন যে কিছু রাজ্যসভা সদস্য উপরাষ্ট্রপতির সুস্থতা জানার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস পিটিশন দায়ের করার কথা ভাবছেন। তবে, আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে, তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে সরকারী তথ্য দাবি করেছেন। শিবসেনা নেতা শাহকে উপরাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সত্য তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে সমস্ত জল্পনা বন্ধ করা যায়।
No comments:
Post a Comment